নরসিংদী প্রতিনিধি
নরসিংদীতে হারুন ওরফে বাবুল (৩৫) নামে এক ভূয়া পুলিশকে আটক করেছে পুলিশ। শনিবার বেলা ১১ টায় ঢাকা সিলেট মহাসড়কের শহরের জেলখানা মোড় থেকে তাকে আটক করা হয়।
আটককৃত হারুন ওরফে বাবুল জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ি থানার বাগমারী গ্রামের মৃত ইমান আলীর ছেলে। তিনি নিজেকে সাভারের আশুলিয়া হাইওয়ে পুলিশ উপপরিদর্শক হিসেবে পরিচয় দিতেন।।
পুলিশ জানায়, গত ৬ জুন বৃহস্পতিবার জেলা শহরের জেলখানা মোড়ের হলি লাইফ হাসপাতালে এক নারীকে নিয়ে এসে প্রতারনা করে তার ব্যাগ নিয়ে পালিয়ে যায় ভূয়া পুলিশ হারুন। তার ওই ব্যাগে নগদ ১৫ হাজার টাকা, ৪ আনা ওজনের একটি স্বর্ণের চেন ও তার ব্যবহৃত সীমসহ একটি এন্ড্রয়েড মোবাইল সেট ছিল। পরে ওই নারী কান্নায় ভেঙে পড়ে ও হাসপাতাল কতৃপক্ষকে ব্যাগ নিয়ে যাওয়ার ঘটনা জানায়। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সিসি ক্যামেরা থেকে তার ছবি স্থানীয় সাংবাদিকদের সরবরাহ করে। আজকে দুপুরে নরসিংদী সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন রাজু বাড়ি থেকে জেলখানার মোড়ে আসলে তিনি প্রতারক ও ভূয়া পুলিশ হারুনকে দেখতে পান। পরে তিনি দায়িত্বরত নরসিংদী ট্রাফিক পুলিশের টিআই আবুল বাসার আকন্দ , সার্জেন্ট শামীম আহমেদ এবং এটিএসআই মো. মোস্তফা কামালের সহায়তায় তাকে আটক করে। পরে তাকে হলি লাইফ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কতৃপক্ষও তাকে চিহ্নিত করে। পরে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে সে প্রতারনার কথা স্বীকার করে। সে জাানায় তার গায়ে পরিহিত পোশাকটি ঢাকার কল্যাণী মার্কেট থেকে কিনেছে। সে সাত মাস যাবৎ বিভিন্ন স্থানে প্রতারনা করে সাধারণ মানুষের টাকা পয়সা লুট করার কথা স্বীকার করে।
এই সময় তার কাছ থেকে একটি লেজার লাইট একটি মোবাইল সেট উদ্ধার করা হয়। পরে তাকে নরসিংদী সদর মডেল থানার পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
নরসিংদী সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন রাজু বলেন, আজকে জেলখানার মোড়ে তাকে দেখে আমার সন্দেহ হয়। পরে মোবাইলে থাকা ছবি দেখে নিশ্চিত হই। পরে দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশের সহায়তায় তাকে আটক করা হয়। সে অনেক নিরীহ মানুষের টাকা পয়সা লুট করেছে।
নরসিংদী সদর মডেল থানার উপপরিদর্শক নাসিম বলেন, তাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। আর ভুক্তভোগী নারী থানায় আসতেছে। তার সাথে কথা বলে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।